20.7 C
New York

মালদ্বীপে চীনা জাহাজ, ভারত কেন উদ্বিগ্ন

Published:

চীনের এ ধরনের ‘আগ্রাসী’ মনোভাবের বিরুদ্ধে আগেও বহু দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীন ‘আগ্রাসী’ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের নজরে রয়েছে ভারত মহাসাগরও। ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াও অভিযোগ করেছিল, তাদের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত ‘একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে’ (ইইজেড) চীনা নজরদারি জাহাজ ঢুকেছে।

ভারত মহাসাগরের ওপর চীনের নজর দীর্ঘদিনের। ২০২২ সালের আগস্ট ও ২০২৩ সালে অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সরকারও চলে এসেছিল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। সে সময় তারা চীনের দুটি জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ ও ‘শি ইয়ান ৬’–কে যথাক্রমে হাম্বানটোটা ও কলম্বো বন্দরে ভেড়ার অনুমতি দিয়েছিল। তখনো সেগুলোকে ‘গবেষণা’ জাহাজ বলা হয়েছিল।

চীন চেয়েছিল, ‘ইয়াং হং ৩’-কেও সমুদ্রগবেষণার জন্য কলম্বোতে এক বছর থাকতে দেওয়া হোক। সে জন্য তারা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথাও বলেছিল। কিন্তু ভারত আপত্তি জানায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে। এরপরই এ বছরের গোড়ায় শ্রীলঙ্কা জানিয়ে দেয়, কোনো চীনা গুপ্তচর জাহাজকে আগামী এক বছর তাদের দেশে ভিড়তে দেওয়া হবে না। এরপরেই ওই জাহাজ মালদ্বীপমুখী হয়।

মালদ্বীপ সরকার তাদের বিবৃতিতে বলেছে, উপলক্ষ ও উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ হলে বন্ধুদেশের যেকোনো সামরিক বা বেসামরিক জাহাজ তাদের দেশে স্বাগত। স্পষ্টতই, মালদ্বীপের কাছে চীনের উদ্দেশ্য অশান্তি সৃষ্টি করা নয়। অতএব ভারত আপত্তি জানালেও মুইজ্জু সরকার নিশ্চিতই তা উপেক্ষা করবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধারণা।

Related articles

Recent articles

spot_img