চলতে পারবে না মোটরসাইকেল, অটোরিকশা
সিডিএ ১২ ধরনের গাড়ির প্রস্তাবিত টোল নির্ধারণ করে একটি তালিকা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ওই তালিকা অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল (দুই চাকা), সিএনজিচালিত অটোরিকশা (তিন চাকা), কার, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মিনিবাস, বাস, ট্রাক (৪ চাকা), ট্রাক (৬ চাকা), কাভার্ড ভ্যান এবং ট্রেইলার গাড়ি চলাচলের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
সিডিএর প্রস্তাব নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ওই সভায় বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, ট্রেইলার ও অটোরিকশা প্রবেশ করতে দেওয়া সমীচীন হবে না। সভায় তিন ধরনের গাড়ি বাদ দিয়ে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ট কনসালটেন্সি (বিআরটিসি) ২০১৫ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছিল। এতে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা বা তিন চাকার যান এবং ট্রেইলার চলাচল করার কথা বলা হয়েছিল। চালুর পর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এসব গাড়ি কী পরিমাণ চলাচল করবে এবং তা থেকে কত টোল আদায় হবে, তারও একটা সম্ভাব্য হিসাব দেওয়া হয়েছিল।
ওই হিসাব অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেসব সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, সেখান দিয়ে ২০২৪ সালে প্রতিদিন গড়ে ৬৩ হাজার ১৬৫টি গাড়ি চলাচল করার কথা। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৫ হাজার ৫৩৭টি এবং কার ও তিন চাকার যান চলবে ৩৭ হাজার ৫৫১টি। অর্থাৎ মোট গাড়ির দুই-তৃতীয়াংশ হচ্ছে মোটরসাইকেল, কার ও তিন চাকার যান। এ ছাড়া ট্রেইলার চলার কথা ৭৬৬টি। এতে ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আয় ধরা হয় ৯৫ কোটি টাকা। আর যত সময় যাবে, তত এসব গাড়ি চলাচলের পরিমাণ বাড়বে, আয়ও বাড়বে।