পরে দেখলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হলো এবং তার কিছুকাল পরে আবেদ আমাকে ডাকল, তার বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য হতে। আমি সাড়া দিলাম। সেই থেকে, মানে অনেক কাল ধরে, আমি ওই ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আছি, উপরন্তু ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেটের সদস্যও হয়ে রয়েছি।
আবেদকে একদিন বললাম, ট্রাস্টি বোর্ডে আমার সদস্যপদের মেয়াদ সাধারণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে, সেখান থেকে আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। আবেদ মৃদু হেসে বলল, তুমি-আমি একসঙ্গে যাব। আমার আর যাওয়া হয়নি।
আবেদ জানে সে কী চায়-তা ব্র্যাক কিংবা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি যা নিয়েই হোক। এতক্ষণে আমরা সবাই জানি, সে একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তার দেখা স্বপ্নকে সে বাস্তবরূপ দিতে চায়। কীভাবে তা সম্ভবপর হবে, সে-বিষয়েও তার স্পষ্ট ধারণা আছে। তবু সে অন্যদের পরামর্শ চায়-যদি অন্য কারও এমন কোনো ধারণা থাকে যা ওই স্বপ্নের বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ হবে, তাহলে সে দুহাতে তা নিতে প্রস্তুত। সে জানে, কোনো কিছুই রাতারাতি অর্জিত হয় না। তাই সে সময় দিতে ও নিতে তৈরি। কিন্তু লক্ষ্যচ্যুত হতে সে রাজি নয়, এ ব্যাপারে আপসরফার প্রশ্নও তার কাছে নেই।
ব্র্যাক আজ শুধু সারা দেশে ছড়িয়ে তা নয়, দেশের বাইরেও কাজ করছে। এশিয়া ও আফ্রিকায় ব্র্যাক সক্রিয়, উত্তর আমেরিকায়ও তার উপস্থিতি রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটি। কী করে তা সম্ভবপর হলো? একজন মানুষের একাগ্রচিত্ততার ফলে তো বটেই, ঠিক লোককে ঠিক জায়গায় বসানোর ব্যাপারে আবেদের যে দক্ষতা তাও এই সিদ্ধির একটা কারণ। ব্র্যাকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আড়ং’ কী বিশাল কর্মযজ্ঞ গড়ে তুলেছে!