13.4 C
New York

দাউদ (আ.)-এর রাজত্ব ও মুজিজা

Published:

হজরত দাউদ (আ.) তাঁর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েই উপার্জন করতেন। নিজের উপার্জনের টাকায় জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিজের ভরণপোষণের জন্য কিছুই নিতেন না। যদিও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের বিনিময় নেওয়া অবৈধ নয়। নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কেরামের কাছে তাঁর এই গুণের সুনাম করেছেন।

মিকদাম (রা.) সূত্রে পাওয়া একটি হাদিসে আছে, নবী (সা.) বলেন, নিজ হাতে উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাদ্য কখনো কেউ খায় না। আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন। (বুখারি, হাদিস: ২০৭২)

আল্লাহ হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি তাঁর অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করে কোরআনে আছে, ‘আমরা দাউদের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ প্রদান করেছিলাম এই মর্মে যে হে পর্বতমালা, তোমরা দাউদের সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং (একই নির্দেশ দিয়েছিলাম) পাখিদেরও।’ (সুরা সাবা, আয়াত: ১০)

কোরআনে হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি পাহাড়-পর্বত ও পশুপাখির আনুগত্য ও আল্লাহর তাসবিহ পাঠের কথা বলা হয়েছে।

কোরআনে আছে, ‘আর আমি সোলায়মানকে এ বিষয়ের মীমাংসা জানিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমি হিকমত ও জ্ঞান দিয়েছিলাম। আমি পাহাড় ও পাখিদের জন্য নিয়ম করে দিয়েছিলাম যেন ওরা দাউদের সঙ্গে আমার পবিত্র মহাকীর্তন করে। আমি ছিলাম এসবের কর্তা। আমি তাকে তোমাদের জন্য বর্ম তৈরি করতে শিখিয়েছিলাম, যা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে। সুতরাং তোমরা কি হবে না? কৃতজ্ঞ হবে না। (সুরা আল আম্বিয়া, আয়াত: ৭৯-৮০)

Related articles

Recent articles

spot_img