এই অতিরিক্ত পিপাসা থেকে মুক্তির উপায় কী
এক. যদি কারও রক্তের সুগার সুনিয়ন্ত্রিত থাকে, তবে এসব উপসর্গ কমে যায়। সাধারণত রক্তের সুগার একটি বিশেষ মাত্রার ওপর গেলে তারপর কিডনি দিয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এর আগে নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে সব সময় রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ভালো নিয়ন্ত্রণ মানে হলো, খালি পেটে ৬ মিলিমোল বা এর কম, খাবার ২ ঘণ্টা পর ৮ মিলিমোল বা তার কম এবং তিন মাসের গড় এইচবিএওয়ানসি ৭ শতাংশের কম থাকা।
দুই. সব সময় হাইড্রেটেড থাকবেন। যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করবেন। দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস। কারণ, ডায়াবেটিসের রোগীর শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
তিন. পানির বিকল্প হিসেবে চিনিবিহীন বাড়িতে তৈরি ফলের রস, লেবু পানি ইত্যাদি পান করতে পারেন। চা–কফি অতিরিক্ত পান করবেন না। এগুলো শরীরকে আরও পানিশূন্য করে। অ্যালকোহলও এড়িয়ে চলা ভালো।
চার. ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করে থাকেন। খুব গরমের সময় বাইরে রোদে না হেঁটে ঘরে এক্সারসাইজ করতে পারেন। অথবা ভোর বা সন্ধ্যা এমন শীতল সময় বেছে নিন। ব্যায়ামে যাওয়ার সময় সঙ্গে পানির বোতল নেওয়া ভালো। একটু একটু করে পানি পান করবেন। অনেক ঘাম হলে লবণ পানি পান করতে পারেন।
পাঁচ. চিনিযুক্ত পানীয়, কোলা খাবেন না। মিষ্টি বা ডেজার্টও না। এগুলো আকস্মিকভাবে রক্তের গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। কিডনি দিয়ে গ্লুকোজ নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। এতে করে পিপাসা বাড়বে।
ডা. তানজিনা হোসেন: সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা