9.8 C
New York

কারাগার থেকে বের হলে আবার আমি তা-ই করব: মিয়ানমারের শিক্ষার্থী

Published:

ইয়াঙ্গুনে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান কঠোর থেকে কঠোরতর করতে থাকলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যেও ভয়শঙ্কাও কাজ করতে থাকে।

লিন লিন তাঁর পরিবারকে বিদায় জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। কয়েক দিন পরপরই আস্তানা পাল্টেছেন। সব সময় আতঙ্কে থাকতেন, এই বুঝি দরজায় টোকা পড়ল। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘ওই সময় আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না।’

লিন লিন বলেন, ‘দিনের আলো ফুটলে মনে হতো এখন আমি নিরাপদ। এরপর আমি ভালোভাবে ঘুমাতে পারতাম।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী ভিন্নমতের মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর সময় নির্যাতন ও যৌন হয়রানি করেছে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলেছে, পুলিশি হেফাজতে অন্তত ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের আরেকটি সংগঠন ইয়াঙ্গুনে ঝোড়ো বিক্ষোভ করেছিলেন। সে সময় সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে তিনজন আহত হয়েছিলেন।

লিন লিনও ওই মাসে ধরা পড়েছিলেন। একটি বিক্ষোভে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সাধারণ পোশাকে থাকা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।

লিন লিন কারাগার থেকে বলেন, ‘আমি সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম…কিন্তু আচমকা ধরা পড়ায় আমার মুখ হাঁ হয়ে যায় এবং বলেছিলাম ‘হুহ’।

লিন বলেন, ‘প্রথমে আমি দৌড়ে পালানোর কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা ছিল, আবার তাদের হাতে বন্দুক ছিল।’

২০২২ সালের মার্চে সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত আইনকে জান্তা সরকার ভিন্নমতের মানুষ বিশেষ করে বিক্ষোভকারী, বিরোধী নেতারা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

এরপর ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহারের অভিযোগে লিন লিনের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড হয়।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠনের তথ্যমতে, সামরিক অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজারের বেশি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Related articles

Recent articles

spot_img