16.4 C
New York

‘আই হেট পলিটিকস’-এর ধারা কি জানেন তাঁরা

Published:

ছাত্ররাজনীতি শুধু ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং গণতান্ত্রিক জাগরণেই ভূমিকা রাখেনি, মিছিলের আওয়াজ দুর্নীতিবাজ, অন্যায়কারীদের নিরন্তর চাপে রেখেছে। ১৯৯১ থেকে প্রায় দুই দশক সংসদে কার্যকর বিরোধী দল থাকায় ক্ষমতা প্রয়োগে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রাষ্ট্রীয় প্ল্যাটফর্ম ছিল। গণমাধ্যমেও তা প্রকাশের অধিকার ছিল৷

এখন ‘ওয়াই’-‘জি’ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দরকার ছিল যে রাজনীতি, তা মারা গেছে সবার চোখের সামনেই। ফলে বহুত্ববাদী সমাজ এবং শাসকদের কৈফিয়ত এখন অর্ধমৃত স্বপ্নমাত্র।

শাসনব্যবস্থা থেকে বৈচিত্র্যময় রাজনীতিসহ জনসাধারণকে বিচ্ছিন্ন করার এই প্রক্রিয়াকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলেছেন বিরাজনীতিকীকরণ। বাইরের ইশারায় এর বউনি হয় রাজনীতিকদের একটি অংশ এবং সামরিক–বেসামরিক আমলা ও ব্যবসায়িক অলিগার্কির মাধ্যমে। ফ্যাসিজম প্রসঙ্গে বার্ট্রান্ড রাসেল যেমন বলেছিলেন, প্রথমে তারা ‘মুগ্ধ করে বোকাদেরকে’, এরপর তারা ‘বুদ্ধিমানদের মুখে টুনা (বা ঠুসি) পরিয়ে দেয়’।

বিরাজনীতিকীকরণ এমন এক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে, যেখানে ত্যাগী রাজনীতিবিদেরা পর্যন্ত জনগণের সক্রিয় সমর্থন পেতে ধুঁকছেন। শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভোটাধিকার দাবি করে কিন্তু মিছিলে যেতে লজ্জা পায়। শিক্ষিতরা দুর্নীতির অবসান চাইলেও প্রতিবাদ করতে অনিচ্ছুক। টাকাওয়ালাদের প্রত্যাশা সমৃদ্ধিশালী জীবন, তবে তার সামাজিক মূল্য দিতে নারাজ তারা। মধ্যবিত্ত নিরাপত্তা ও স্থিতি চায়, প্রধানত পরিবারের জন্য।

Related articles

Recent articles

spot_img