26.8 C
New York

বিয়ে গোপন করে পুলিশে চাকরি, এএসপি ইমরানকে লঘুদণ্ড

Published:

অবিবাহিত বলে চাকরি নিয়ে শাস্তির মুখোমুখি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আল ইমরান হোসেন। সরকারি তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রীর অভিযোগের পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে এক বছরের জন্য একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে ইমরান হোসেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম জোনের এসি হিসেবে কর্মরত।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আল ইমরান হোসেন চাকরিতে যোগদানের আগে আরিফা আক্তার গোধূলী নামের এক নারীকে চার লাখ টাকা দেনমোহরে ২০১১ সালের মাঝামাঝি বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থিত গেরুয়া গ্রামে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। ইমরান হোসেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের জন্য একাধিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত বলে তথ্য দেন।

পরে তিনি ৩৫তম বিসিএস (পুলিশ)-এ যোগদান করেন এবং বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন। তিনি চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদানের সময়ও নিজেকে অবিবাহিত তথ্য দেন। পুলিশ একাডেমি সারদায় ট্রেনিং শেষে বিবাহের অনুষ্ঠান করবেন বলে অভিযোগকারীকে (স্ত্রী) আশ্বাস দেন। এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন ডাটাবেজে নিজেকে অবিবাহিত বলে তথ্য দেন। তার শিক্ষানবিশকাল শেষে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি হলেও সেখানে তথ্য ফরমে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান হোসেন সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করে সিলেটে শিক্ষানবিশ হিসেবে বদলি হন। কিন্তু স্ত্রীর কাছে তার অবস্থান কখনো সিলেট বা চট্টগ্রাম বলে মিথ্যা তথ্য দেন।

এএসপি আল ইমরান হোসেন এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অভিযোগকারী (স্ত্রী) রংপুরের পুলিশ কমিশনারকে অবগত করেন। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। ইমরানের বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়। পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত শুনানির দিন ধার্য করা হলেও তিনি উপস্থিত হননি।

পরে তদন্ত কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এরপরই সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য ‘একটি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার’ লঘুদণ্ড প্রদান করা হলো।

আল ইমরান হোসেন ভবিষ্যতে এই মেয়াদের কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। এছাড়া এই মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

টিটি/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Related articles

Recent articles

spot_img