৭ অক্টোবরের হামলার পরপরই হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন সালেহ। ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধে ‘প্রকৃত বিজয় অর্জনের কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। পরে বৈঠকটির ছবি প্রচার করা হয়।
পাল্টা হিসেবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। একপর্যায়ে কাতারের মধ্যস্থতায় কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হামাস কিছুসংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় সালেহর ভূমিকা ছিল।
ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, উভয় পক্ষের ব্যক্তিদের মুক্তির তালিকা তৈরিতে সালেহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁর এই ভূমিকাকে ‘অপরিহার্য’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বারবার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন যে হামাস নেতারা তাঁদের নিশানায় আছেন।
গত নভেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে হামাসের সব নেতা, তাঁরা যে যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁদের হত্যা করতে হবে।
গত ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধানের একটি রেকর্ডিং ফাঁস হয়। এতে তিনি ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সদস্যদের বলেন, গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, তুরস্ক, কাতার—সর্বত্র হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে।
১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি দলের ওপর একটি সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামলা চালায়। এই হামলার জেরে গুপ্তহত্যা মিশন শুরু করেছিল ইসরায়েল। এর সঙ্গে ইসরায়েলের বর্তমান গুপ্তহত্যা মিশনের তুলনা করা হচ্ছে। সেই প্রচেষ্টার মতো এই মিশনও (গুপ্তহত্যা) ইসরায়েলিদের আশ্বস্ত করতে পারে।