ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রথম মেয়াদের চেয়ে কট্টর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার একটিতেও দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকতে হবে। কিন্তু তিনি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা প্রয়োজনের সময় আনন্দিত চিত্তেই ডেমোক্র্যাট, প্রগতিশীল, মুসলিম, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়ে দেবে।
ট্রাম্প তাঁর প্রচারণায় বারবার অঙ্গীকার করছেন বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের এমন সব প্রতিষ্ঠানে তাঁর অনুগত সমর্থকদের নিয়োগ দেবেন, ঐতিহ্যগতভাবে যেসব জায়গায় নির্দলীয় ও পেশাদার লোকদের বসানো হয়। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা থেকে ট্রাম্প খুব ভালো করেই বুঝেছেন যে তিনি কত ভালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন, তার ওপর নির্ভর করবে তাঁর ক্ষমতা। আর এটা কোনো গোপন বিষয়ও নয়।
ফেডারেল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতির একেবারে কেন্দ্র। এখানে কোনো কিছু ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত তার প্রভাব পড়ে।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের অনুরাগ, নিজের ব্যক্তিগত লাভের স্বার্থে ইউক্রেনের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার ইচ্ছা, কংগ্রেসে আন্তর্জাতিকতাবাদী মধ্যপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইউরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি অনেকটাই বদলে যাবে। এর মধ্যে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা এবং ইউক্রেনে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।