ইন্টারনেট বন্ধ রেখে, কারফিউ দিয়ে, প্রতিদিন পুলিশ দিয়ে শত শত ছাত্র, শিশু, সাধারণ মানুষকে খুন করেছে সরকার। বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করেছে অন্য গল্প সরকারের মন্ত্রীরা। থামছে না, উল্টো মানুষের মৃত্যু যেন তাদের কাছে সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। শত শত মানুষ মেরে হলেও ছাত্রদের দাবিয়ে দেবে। জীবনের কোনো মূল্য নেই। রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি হানাদারদের মতো পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ ছাত্রদের তুলে নিচ্ছে, নির্যাতন করছে। ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে চাপ দিয়ে বিবৃতি আদায় করে ভাত খাওয়ানোর দৃষ্টিকটু নাটক টিভিতে প্রচার করে আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। ওরা ভুলে গেয়েছিল এই দেশে ছাত্ররাই ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১-এর নায়ক। এমনকি ১৯৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বুকে-পিঠে নূর হোসেন লিখে এনেছিলেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’। আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। সব ইতিহাস যেন ক্ষমতার ভারে ভুলে গেছে।
এই ফাঁকে মেট্রোরেল, বিটিভি, সেতু ভবনসহ নানা জায়গায় হামলা হলো, সব দোষ দেওয়া হলো ছাত্রদের। অথচ সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে যাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের কোটা আন্দোলনের ছাত্র মনে হচ্ছিল না। যে সম্পদ আবার গড়া যায়, তার জন্য এত মায়াকান্না তাদেরই থাকে, যাদের কাছে মানুষের প্রাণের কোনো দাম নেই। ১৫ বছর ধরে এমন একটা ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেটার অবসান কখনো হবে, ভাবেনি আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ, গত ১৫ বছরে হয় ভয় দেখিয়ে, নয়তো জামায়াত-বিএনপি-রাজাকার ট্যাগ লাগিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা অপকৌশলে সব বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখার এক কৌশল বের করেছিল। যেটা দিয়ে আগামী দিনেও ভোট চুরি করে ক্ষমতাকে চিরকাল ধরে রাখবে বলে বিশ্বাস করত। তাদের সেই সব অপকৌশল এবার ব্যাক ফায়ার করেছে।