এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন ছাত্রশক্তির অভ্যুদয় লক্ষ করলাম। শিক্ষার্থীরা যে প্রজ্ঞায়, সাহসে ও নেতৃত্বে এই আন্দোলনকে সফল করে তুললেন, তাকে অভিবাদন জানাই। সারা দেশের জনতা নির্ভীক চিত্তে যেভাবে এ আন্দোলন বেগবান করে তুলল, তাকেও জানাই অভিনন্দন। একটি নতুন যুগের উন্মেষ ঘটাতে এ সময়ে যাঁরা নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিলেন, জাতি তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। তাঁদের জন্য আমরা একই সঙ্গে শোকে আনত এবং গর্বে উন্নত–শির। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা এক অসাধারণ সময়ের সাক্ষী হয়ে রইলাম।
আপামর জনতা একটি কঠিন রক্তস্নাত অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে অপশাসনের জগদ্দল পাথরকে ভেঙে চূর্ণ করেছে। ভাঙার সময়কে আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এখন গড়ে তোলার সময়। শেখ হাসিনার দুর্নীতি-জর্জরিত একনায়কতন্ত্রের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা বিজয় অর্জন করেছে। যে প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশবাসীর কণ্ঠে চেপে বসেছিল, তার অবসান ঘটেছে।
রাজধানীসহ দেশের নানা অঞ্চলে আমরা বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরও আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এমন একটি সফল গণ–আন্দোলনের পর এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। গতকাল সেনাপ্রধান তাঁর ভাষণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অরাজকতা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরাও সবাইকে সে অনুরোধ জানাই। একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের পতন ঘটানোর পর আর কোনো হামলা, অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ বা মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।