এর মধ্যেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় গত শনিবার রয়টার্সকে বলছেন, তাঁর মা ‘ভারতে যাওয়ার আগে পদত্যাগ করেননি। তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ অথচ কিছুদিন আগে চলতি ঘটনাবলির প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘মা আর রাজনীতি করতে চান না।’ তাঁর নতুন দাবির পরোক্ষ মানে দাঁড়ায় ভারত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। কিন্তু খোদ শেখ হাসিনা আবার সর্বশেষ বলেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
এ সব বক্তব্য সঙ্গত কারণে বাংলাদেশের পরিবর্তনের শক্তিসমূহের মাঝে অসন্তোষ তৈরি করছে। যা ক্রমে শান্ত হতে থাকা অবস্থায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে শঙ্কা আছে। প্রতীয়মান হচ্ছে, জয়ের বক্তব্যের সঙ্গে সংগতি রেখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী যদি ভারত থেকে কোনো রাজনৈতিক-প্রশাসনিক তৎপরতা চালাতে চান, তাহলে সেটা বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক শক্তিগুলো ভালোভাবে নেবে না। উদীয়মান এসব শক্তি ভারতের ভূমিকাকে তীক্ষ্ণভাবে নজরে রাখছে।
ভারত কোনোভাবে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং নতুন সরকারকে অবমূল্যায়ন করছে কি না, সে সন্দেহ এরই মধ্যে স্থানীয় জনসমাজে আছে। এ রকম সন্দেহ উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিপুল চাপ তৈরি করছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনক্রমে চ্যালেঞ্জে পরিণত হচ্ছে। আবার এ অবস্থা বাংলাদেশে সমাজে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্কে একটা অপ্রয়োজনীয়-অনাকাঙ্ক্ষিত চাপও তৈরি করছে। পুরো পরিস্থিতি তাই নয়াদিল্লির দিক থেকে গভীর পুনর্বিবেচনা দাবি করে।