ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের এ বাড়িটার বয়স এখন ১৪০ বছরেরও বেশি। সাক্ষাৎকারে রাহুল আনন্দ বলেছিলেন, তিনি আদর করে এই বাড়ির নাম দিয়েছেন ‘ভাঙা বাড়ি’। কিন্তু তাঁর এই ভাঙা বাড়িতেই আট বছর ধরে আছেন সবাই। রাহুল-শুক্লা দম্পতি ও তাঁদের একমাত্র ছেলে তোতা ছাড়াও এ বাড়িতে আরও অনেকের বাস। পোষা কুকুর ও বিড়ালের সঙ্গে প্রতিবেশী পোষ্যরাও এখানে সসম্মানে থেকে যায়।
একতলা হলেও অনেকটা জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছে এই বাড়ি। অনেকগুলো ঘর। একেকটার আমেজ একেক রকম। শহরের বিশাল বিশাল অট্টালিকার চাকচিক্যের সঙ্গে এই বাড়ির তুলনা করলে কিছুটা ভুল হবে। আসলে মিলবেও না। পুরোনো হলেও শিল্পী দম্পতি এই ভাঙা বাড়িকে প্রাণ দিয়েছিলেন বেশ যত্ন করে। সে সময় রাহুল আনন্দের ভাষ্যে, ‘আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই পুরোনো মানুষ, পুরোনো বাড়ি, পুরোনো বৃক্ষ, পুরোনো সংস্কৃতিকে খুব ভালোবাসি। পুরোনো সবকিছুই আমাদের টানে। সেই ভেবে পুরোনো বাড়ির সন্ধান করতে করতেই এ বাড়িটা পেয়ে যাওয়া।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়েই এ বাড়ি। একই হোল্ডিংয়ে বেশ কিছু স্থাপনা। এই অংশের বাড়িটা পরিত্যক্ত ছিল বলে বাড়ির মালিক কাউকে এই বাড়িটা ভাড়াও দিচ্ছিলেন না। কিন্তু মালিকের এটাও বিশ্বাস হয়েছিল, ‘শিল্পী মানুষ, হয়তো বাড়িটায় প্রাণ ফিরবে, সুন্দর কিছু হবে।’ আসলে হয়েছেও তা-ই। একটা বসবাস-অযোগ্য বাড়িকে সেবা-শুশ্রূষা আর পরম ভালোবাসা দিয়ে থাকার উপযোগী করে তুলেছেন তাঁরা। দেড় মাসের মতো সময় লাগে সব ময়লা-জঞ্জাল পরিষ্কার করে বাড়িটায় উঠতে।