Home Defence বয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

বয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

86
0
বয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

তরুণ বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কতগুলো স্পষ্ট কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন একটি বড় কারণ। পাশাপাশি এমন কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতা আছে, যেগুলো কারও ভেতর থাকলে তিনি সহজেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। যেমন—

বংশগত: মা–বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব ইতিহাস থাকলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অধিকতর সচেতনতা জরুরি।

ডায়াবেটিস: আপনার বয়স কত কম বা বেশি, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অন্যদের চেয়ে দুই থেকে চার গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অতিরিক্ত ওজন: অনেক তরুণই আজকাল এ সমস্যায় ভুগছেন। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ও স্থূলতা নানা রকম স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি করে, যা একপর্যায়ে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

উচ্চ রক্তচাপ: যেকোনো ধরনের হৃদ্‌রোগের অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তরুণদের ভেতর হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা। উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের পেশিকে ঘন করে দেয় এবং রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

ধূমপান ও ভ্যাপ: ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তরুণদের ভেতর ধূমপানের প্রবণতা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই একজন অধূমপায়ীর চেয়ে ধূমপায়ীর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেশি। অনেকে আবার সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ভ্যাপ নিয়ে থাকেন এবং মনে করেন, এতে ক্ষতিকর ব্যাপার নেই বা থাকলেও কম। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সে রকম নয়। ভ্যাপ বা ই-সিগারেটের ভেতর থাকা নিকোটিন ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ হৃদ্ গতিকে বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা আছে। ফলে ভ্যাপ গ্রহণকারীও হতে পারেন হার্ট অ্যাটাকের শিকার।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: এটি তরুণদের ভেতর প্রবলভাবে দেখা যায়। খাবারে অনিয়ম, ঠিকমতো না ঘুমানো, টানা পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, হতাশা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি কারণে অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here