গতকাল শনিবার দুপুরে সায়েন্স ল্যাব মোড়ের হ্যাপি অর্কিড শপিং মলে গিয়ে দেখা গেছে, ভেতরে কোনো ক্রেতা নেই; বিক্রেতারা বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। হ্যাপি অর্কিডের দ্বিতীয় তলার শাড়ির দোকান টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন জানান, গত তিন দিনে কমবেশি বেশ কয়েক ঘণ্টা করে দোকান খোলা ছিল। কিন্তু এ সময়ে একটি শাড়ি বা থ্রি-পিসও বিক্রি হয়নি। এ ধরনের পরিস্থিতি আগে কখনো হয়নি।
শনিবার সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে যেতে প্রায় সব মার্কেট ও বিপণিবিতানে গ্রাহকের খুব কম উপস্থিতি দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলেন, একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ কেনাকাটার জন্য আসছেন না। বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদনীচক মার্কেটে কথা হয় পোশাক বিক্রেতা আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দোকান খুলে রাত আটটায় বন্ধ করেছি। এ সময়ে মাত্র দুজনের কাছে পোশাক বিক্রি করতে পেরেছি। দোকানে ক্রেতারা আসছেন না।’ আমজাদ হোসেন জানান, বন্ধের দিনগুলোতে যেখানে ২০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হতো, সেখানে এখন দুই হাজার টাকার জিনিসপত্রও বিক্রি হয় না।
বিক্রেতা আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই দোকানটিতে আসেন ক্রেতা মাহফুজা রহমান। পেশায় চিকিৎসক এই নারী গত বুধবার ফরিদপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন বিয়ের কেনাকাটা করতে। কিন্তু আন্দোলনের কারণে পরিকল্পনামাফিক অনেক মার্কেটে যেতে পারেননি। জানতে চাইলে মাহফুজা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেকটা বাধ্য হয়ে একধরনের শঙ্কা মাথায় নিয়ে এসেছি। তা-ও অনেক জরুরি কেনাকাটা করতে পারিনি। সন্ধ্যার মধ্যে যা পারি কিনে দ্রুত বাসায় ফিরতে চাই।’