মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এসে জনরোষ বিবেচনায় নিয়ে অচিরেই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
তিনি বলেছেন, সব ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে স্বতঃস্ফূর্ত জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অগণিত মানুষের প্রাণ হরণের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে জনগণের ক্ষোভ এবং ঘৃণাকে বিবেচনায় নিয়ে অচিরেই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
বুধবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ তাণ্ডবে সন্তানের মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকবে, মস্তক বিচ্ছিন্ন হবে, দেহ খণ্ড-বিখণ্ড হবে এবং রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে—এজন্য মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়নি। ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে নতুন করে হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতা দেখার জন্য নয়।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে গিয়ে গত দুদিনে বর্বরোচিত হামলা ও গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ছয়জনকে হত্যাসহ শত শত শিক্ষার্থীকে আহত করে সরকার সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৬৯, ‘৭০ এবং ‘৭১ সালে শিক্ষার্থীদের বীরোচিত ভূমিকার তীর্থভূমিতে, তাদেরই গুলি করে হত্যার মাধ্যমে সরকারের গদি রক্ষার স্বপ্ন অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে দেশকে বিভক্ত করে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ভোট চুরি, লুণ্ঠন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামকে স্তব্ধ করতে গিয়ে সরকারি লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের অন্যায়, অবিচার এবং পাপের পরিমাণ সীমা ছাড়িয়েছে। এ সরকারের কাছে জনগণ এবং রাষ্ট্র কেউ নিরাপদ নয়।
জেএসডি সভাপতি বলেন, ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ‘রাজাকার’ আখ্যায়িত করে সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একাত্তরের হানাদারদের অনুসারী হয়ে উঠছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পেটোয়া বাহিনীর হামলার নির্দেশদাতাদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে প্রজাতন্ত্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কেএইচ/এমকেআর/এএসএম