বইটির আরেকজন লেখক সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান দ্বৈত উত্তরণের প্রসঙ্গে বলেন, দেশের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, এই উত্তরণ তারই প্রতিফলন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, এবং ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয় বা ঋণের ফাঁদে পড়ে কি না। শ্রমঘন শিল্পের ওপর ভর করে এত দিন যে উন্নয়ন হয়েছে, সেখান থেকে পরবর্তী পর্যায়ে যেতে হবে। অর্থাৎ উচ্চ প্রযুক্তিভিত্তিক উৎপাদন ও রপ্তানিতে যেতে হবে। কিন্তু গত ১০ বছরে উচ্চ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি এক শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। যদিও ভিয়েতনাম এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার মধ্যে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বিকাশ হলেও উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে এটি আর সেভাবে কাজ করবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের বিষয়ে এত দিন এক ধরনের রাজনৈতিক ঐকমত্য ছিল, অর্থাৎ এটা চলতে দিতে হবে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ কি এফডিআই নির্ভর হবে, না কি অর্থনৈতিক অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন করবে, তা নিয়ে ঐকমত্য নেই।
সেলিম রায়হান আরও বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে দেশে একধরনের স্থিতিশীলতা আছে। এই চক্র ভাঙতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন, তা না হলে সংস্কার হবে না; তা না হলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতাও বাড়বে না।