ইউক্রেন সংঘাতের মতো বিতর্কিত ইস্যুতে কূটনৈতিক সম্পর্কের যে জটিলতা, তার মধ্যে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে একটা সংলাপের আয়োজন করা অনেক কঠিন।
আরেকটি ঘটনাও এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট রুশ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে যে রাশিয়া যা করেছে, সেটা রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সনদ আছে, তার পরিপন্থী। কেননা এই সনদ অনুযায়ী, রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে চোকিং এজেন্ট (এই রাসায়নিক ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়) ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইউক্রেন সংঘাত সমাধান, এ মুহূর্তে অধরা একটা বিষয়। সংঘাতের ধরনটি দীর্ঘস্থায়ী হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে চলেছে। এই যুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের বিজয় মানে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কারা রাশিয়ার পরবর্তী শিকার, সেই শঙ্কা তৈরি হওয়া।
এ মুহূর্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাটাই ইউক্রেন সংঘাতের একমাত্র টেকসই বিকল্প।
-
ডালিয়া আল-আকিদি, আমেরিকান সেন্টার ফর কাউন্টার এক্সট্রিমিজমের নির্বাহী পরিচালক
আরব নিউজ থেকে নেওয়া, ইংরেজে থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত