এএনএফআরইল হলো এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক সংগঠনের নেটওয়ার্ক। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই নেটওয়ার্ক এশিয়ার দেশগুলোতে নির্বাচন ও নির্বাচন মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে। ব্যাংককে এর প্রধান কার্যালয়। এই নেটওয়ার্কে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিক সংগঠনও রয়েছে।
নেটওয়ার্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এখানে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সহিংস সংঘাতের খবর রয়েছে। এসব সংঘাতে বহু মানুষ আহত ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এরপরও নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি। নির্বাচনী সহিংসতা ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রাকে খাটো করে তাদের দেওয়া বক্তব্য–বিবৃতি তদারকি ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
বিবৃতিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতা এবং এরপর দলটির ২১ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীকে আটকের তথ্য দিয়ে এএনএফআরইএল বলেছে, এতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারাবন্দী অবস্থায় বিএনপির নয়জন নেতা–কর্মীর মৃত্যু এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এ পরিস্থিতিতে আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ মনোযোগ ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।