19 C
New York

৪৮ বছরে বিদেশ গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন

Published:

গত ৪৮ বছরে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন বাংলাদেশি বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের শফিউল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মস্থানের জন্য গেছেন।

পাসপোর্টবিহীন কতজন বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে রয়েছেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার মন্ত্রণালয়ে নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাড়াঁতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বোয়েসেলের মাধ্যমে স্বল্প/বিনা খরচে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৭ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।

সরকার দলীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, আসন্ন বোরো সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং প্রতি কেজি ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে (৩০ এপ্রিল) বর্তমানে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে সাত লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ টন চাল, তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৪ টন গম রয়েছে। বর্তমানে কোনো ধানের মজুত নেই।

স্বতন্ত্র এমপি মো. আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ২৮ হাজার খাদ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত ৭১১৭ শ্রমিকের মাতৃত্ব কল্যাণ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদানকৃত আর্থিক সুবিধার পরিমাণ ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।

আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Related articles

Recent articles

spot_img