বুধবার বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় রক্তদান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সজিবুরের ৩০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে আনন্দমিছিল, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, মিলাদ মাহফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে আগত সবার জন্য কয়েক শ চেয়ার পাতা ছিল। মুক্তমঞ্চের পাশে কেক কাটার জায়গাটি দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রায় ৪০০ মানুষের মধ্যে মোরগের আখনি বিতরণ করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিলেন। এ ছাড়া বেশ কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরও ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিন আয়োজনে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। এর প্রকৃত হিসাব না পেলেও প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এত টাকার উৎস নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যেই ভেতরে–ভেতরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ঘটা করে এমন আয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও প্রশ্ন তুলেছেন।
যোগাযোগ করলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খাবারের টাকাটা আমার দেওয়া। এতে ২৫–৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাকি যেসব কর্মসূচি হয়েছে, এসব টাকা জুনিয়ররা (ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী) দিয়েছে। সব মিলিয়ে খুব বেশি খরচ হয়নি।’ তাঁর জন্মদিন উদ্যাপনে খরচের টাকার উৎস কী, এ প্রশ্নের উত্তর তিনি আমতা আমতা করে এড়িয়ে যান।