ফেনী ট্রমা সেন্টার চালু, তবে…
চারটি ট্রমা সেন্টারের মধ্যে একমাত্র ফেনী ট্রমা সেন্টার চালু আছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফেনীর মহিপালে ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয় সেন্টারটি। ২০০৬ সালের ৩০ অক্টোবর ট্রমা সেন্টারের বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবং জনবলসংকটে খুঁড়িয়ে চলছে সেন্টারের সেবা কার্যক্রম। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া মূল উদ্দেশ্যে হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের ফেনী জেনারেল হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফেনীর ২০ শয্যাবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারে অনুমোদিত পদ ১৯টি। এর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। তাঁদের মধ্যে আটজন নার্স থাকার কথা থাকলেও আছেন পাঁচজন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) পদে একজনকে পদায়ন করা হলেও তাঁকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে পাঠানো হয়েছে।
ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, এখানে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত রোগীরাই চিকিৎসা নিতে আসেন। কখনো হাড়ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফেনী জেলা সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জনবল ও অবকাঠামো-সংকটের কারণে বর্তমানে শুধু বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সংকটের কথা একাধিকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।