স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়া হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিজয় কুমার চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০-এ (হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, ডবলমুরিং) সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম ও নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা) আসনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান প্রচার-প্রচারণায় শুরু থেকে সরব আছেন। এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা, অভিযোগ, বিষোদ্গার চলছে।
স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে থাকা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের অনেকেই দুই থেকে তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সংসদ সদস্যদের ঘিরে একশ্রেণির নেতা-কর্মী বলয় তৈরি করেছেন। এ কারণে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো আসনে মনোনয়ন নিয়েও বিরোধ তৈরি হয়েছে। এসব কারণে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।