ব্ল্যাকমেলিং একটি জঘন্য অপরাধ। দেশের প্রচলিত সব আইন সম্পূর্ণরূপে আপনার পক্ষে। অতি দ্রুত নিকটস্থ থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। প্রয়োজনে জিডির কপি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করে প্রতিকার চাইতে পারেন।
পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, বিয়ে যথাযথভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয় না। মুসলিম পারিবারিক আইনে কাবিননামা একটি প্রামাণ্য দলিল। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা কঠিন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে নারীরা প্রতারিত হতে পারেন। দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা একটি আইনি দলিল। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনেকেই মা–বাবার অমতে নিজেরা পালিয়ে বিয়ে করেন। এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হলে তা নিয়ে অনেক জটিলতার উদ্ভব হয়। সেটি একটি অনিয়মিত বিয়ে হিসেবে গণ্য হয়। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হলে বিয়ে–সম্পর্কিত অধিকার আদায় করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আইন মেনে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
সরকার তথ্য জানার জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে; কিন্তু তথ্য জানার ক্ষেত্রে অনেকেই অসচেতন। সাধারণ আইনগুলো নাগরিকেরা জানলে কেউ তাঁদের অধিকার খর্ব করতে পারবে না। নিজের আইনি অধিকার সম্পর্কে মানুষ যত বেশি সচেতন হবে, সমাজে অরাজকতা ও নিপীড়ন তত কমে যাবে। একটি সুন্দর রাষ্ট্র গড়তে হলে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
নতুন বছর সবার জন্য শুভ হোক, আইনি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ুক।