15.3 C
New York

হুইপের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ, ভোটার আনছেন নৌকার সমর্থকেরা

Published:

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্তত ২০টি কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বা বের করে দেওয়া হয় বলে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছেন প্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী নাজমুল করিম।

নাজমুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ২০টি কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেননি নৌকার সমর্থকেরা। অনেককে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরীকে দুবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আজ সকাল ৮টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার প্রথম এক ঘণ্টায় চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের ৫টি কেন্দ্রে তেমন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। ভোট গ্রহণ শুরুর পর সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কোথাও ৩০ জন, কোথাও ৪ জন ভোটার।

সকাল আটটায় পূর্ব মনসা আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো এজেন্ট নেই। নারী ভোটার না থাকলেও ৩০ জনের মতো পুরুষ ভোটার ছিলেন। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ১০৬ জন।

ওই কেন্দ্রের সামনে কথা হয় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বোন সুলতানা ইয়াসমিন চৌধুরী ওরফে রেখা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এজেন্টদের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের লড়িহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩ হাজার ৯৮ জন। সেখানে গিয়ে মাত্র চারজন পুরুষ ভোটার ও তিনজন নারী ভোটার দেখা যায়। ঈগলের এজেন্ট ছিলেন তিনজন।

সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়া সদরের আল্লাই ওখারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে ২০ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি দাঁড়ানো ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই নৌকার সমর্থক। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী ভোটার আসছিলেন মোটরচালিত অটোরিকশায় চড়ে। অটোরিকশার পেছনে নৌকার প্রার্থীর পোস্টার লাগানো ছিল। দুই চালক বলেন, তাঁদের কেন্দ্র থেকে ভোটার আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভাড়া সব একসঙ্গে দেওয়া হবে।

Related articles

Recent articles

spot_img