13.3 C
New York

হবিগঞ্জের ২ আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শেষ, যুক্তিতর্ক ২৪ জুলাই

Published:

হবিগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ দুইজনের বিষয়ে আসামিপক্ষের পঞ্চম সাফাই সাক্ষীগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। এখন মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৪ জুলাই পরর্বর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের একজন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া (৬৬)। অন্যজন পলাতক মো. জামাল উদ্দিন আহম্মদ ওরফে মো. জামাল উদ্দিন (৬৫)।

বুধবার (৮ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সিনিয়র প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।

এর আগে এ মামলায় আসামিপক্ষের আরও চারজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার পঞ্চম সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ পঞ্চম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন তিনজন। এরমধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামের এক আসামি মারা গেছেন। বাকি দুইজনের মধ্যে এক জন গ্রেফতার হয়ে আবুল খায়ের গোলাপ কারাগারে আছেন। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরে আসামিপক্ষে (ডিফেন্সের) সাফাই সাক্ষী তাদের জবানবিন্দ পেশ করেছেন।

২০১৮ সালের ১৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাক্ষীদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউটরের আনা মোট ১১ সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ মার্চ আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ জনকে হত্যা, ৬ নারীকে ধর্ষণ, ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ-নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। পাঁচটি অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলার মোট সাক্ষী ২৩ জন।

এফএইচ/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

Related articles

Recent articles

spot_img