15.3 C
New York

হবিগঞ্জের লাখাইতে কাবিখার কাজ না করেই টাকা ‘খাওয়া’ শেষ 

Published:

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলী নূর গত বছরের ১৬ নভেম্বর লাখাই থেকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বদল হয়ে চলে যান। অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বরাদ্দটি মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির অনুমোদন করে নিয়ে আসেন। এ কাজের ছাড়পত্র দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চাহিদার চেয়েও বেশি কাজ হয়েছে এ উপজেলায়। প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে প্রকল্পটি নিয়ে নানা অপপ্রচার হচ্ছে।

এ কাজের দায়দায়িত্ব ইউএনও ও পিআইওর বলে দাবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিউল আলমের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা বিলে স্বাক্ষরের পর আমার স্বাক্ষর নিয়েছেন। কাজ না হয়ে থাকলে তদন্ত হলে তাঁরাই ফাঁসবেন। তবে আমি যতটুকু জানি, প্রকল্পের কাজ সবই হয়েছে। সমস্যা হলো, যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা শ্রমিক দিয়ে এ কাজ না করে মাটি কাটার মেশিনে সম্পন্ন করেছেন।’ গ্রামবাসীকে টাকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামের লোকজন যখন নিজেরা টাকা তুলে এ কাজ করছিলেন, তখন আমি তাঁদের ডেকে অবগত করি, এ রাস্তাগুলো ইউনিয়ন পরিষদ প্রকল্পে নিয়েছে। তাঁরা কেন শুধু শুধু টাকা খরচ করবেন।’

অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও নাহিদা সুলতানা বলেন, পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। তাঁরা কাজগুলো কীভাবে ছাড়পত্র দিয়েছেন, তাঁরাই এর উত্তর দেবেন।

Related articles

Recent articles

spot_img