10.5 C
New York

হত্যা, ধর্ষণ, সহিংসতা, নারী নির্যাতন চলছেই

Published:

নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলে তা পুলিশের পরিসংখ্যানে আসে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬ থেকে সাড়ে ২২ হাজার মামলা হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, মামলার সংখ্যা বছরে গড়ে ২০ হাজার।

নির্যাতনের ঘটনাগুলো গুরুতর হলে তা গণমাধ্যমে আসে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গত বছর পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ঘেঁটে ৩৫ ধরনের নারী নির্যাতনের তথ্য সংকলিত করেছে। ভুক্তভোগী নারী ও শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ হাজার। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের প্রতিটিতে এ সংখ্যা ছিল ২০০ জনের বেশি। 

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সংকলিত তথ্য বলছে, গত বছর ধর্ষণের শিকার হন ৫৭৪ জন এবং আরও ৩৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। স্বামীর হাতে খুন হন ২০৭ জন। আরও ৬৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে যৌতুকের কারণে। একই কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন নারী। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন। অ্যাসিড মারা হয়েছে ১০ জনকে। 

নারী নির্যাতনের কথা জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ গত বছর তাৎক্ষণিক অভিযোগ এসেছে ২৬ হাজার ৭৯৭টি। 

অনলাইনেও হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ফর উইমেনের (পিসিএসডব্লিউ) তথ্য অনুসারে, গত ১৫ মাসে অনলাইনে ভুয়া আইডি (পরিচয়) খোলা, আইডি হ্যাক, প্রতারণা, মুঠোফোনে হয়রানি ও আপত্তিকর আধেয় বা কনটেন্ট ছড়ানোর সাড়ে ১২ হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) গত ১৮ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তাঁর মন্ত্রণালয় সচেতনতা সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন ও আইনি সহায়তা দেওয়ার কাজ করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়, সেটা ঠিক। 

Related articles

Recent articles

spot_img