12.3 C
New York

হজরত শোয়াইব (আ.)–কে খতিবুল আম্বিয়া বলা হয়

Published:

হজরত শোয়াইব (আ.)–কে তাঁর চমৎকার বাগ্মিতার কারণে ‘খতিবুল আম্বিয়া’ বলা হয়। এ ছাড়াও তিনি তাদের নানান সংযম, সহনশীলতা ও মমতার সঙ্গে সব বুঝিয়েছেন। কিন্তু বিনিময়ে কেবল উপহাস-পরিহাসই পেয়েছেন। অবশেষে তারা যখন সীমা লঙ্ঘন করল, তখন আল্লাহ–তাআলার গজব এসে গেল।

তাফসিরকারকেরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে তাদের ওপর তিন ধরনের আজাব হয়েছিল। এক. ঘন মেঘমালা থেকে অগ্নিবৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। দুই. এর পর প্রচণ্ড শব্দ শোনা যায়। তিন. সবশেষে ভূমিকম্প হয়। এ ব্যাপারে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত শোয়াইব (আ.)-এর জাতির ওপর এমন গজব চাপিয়ে দেওয়া হয়, যেন জাহান্নামের দরজা তাদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।

কয়েক দিন তাদের অঞ্চলে প্রচণ্ড গরম পড়ল। একদিন দুপুরে গরমে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হতে থাকে। তখন ছায়া ও পানি কোথাও তাদের স্বস্তি ছিল না। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের কেউ নিজেদের ভূগর্ভস্থ কক্ষে, কেউ জঙ্গলে আশ্রয় নিল। কিন্তু দেখতে পেল সেখানে আরও গরম। কাছের একটা ময়দানের ওপর গাঢ় মেঘমালা দেখা দিল। তারা ছটফট করতে করতে সেই ময়দানের দিকে ছুটে চলল। দেখল, সেখানে মেঘের ছায়া, আর নিচে শীতল বাতাস বইছে। সবাই গরমে অস্থির হয়ে মেঘের নিচে এসে আশ্রয় নিল। কিন্তু সেটি যে বিধ্বংসী মেঘ ছিল, তারা তা জানত না। তারা বলতে লাগল, এই মেঘ থেকে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে। কিন্তু আল্লাহর আদেশ এল এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের মহাগর্জন আঘাত করল। সঙ্গে ঘন কালো মেঘ আগুনে রূপান্তরিত হয়ে তাদের ওপর বর্ষিত হলো। আর নিচের দিকে শুরু হলো প্রচণ্ড ভূমিকম্প।

Related articles

Recent articles

spot_img