Home Defence স্টাম্পিং ও কনকাশন বদলির নিয়ম পাল্টেছে আইসিসি

স্টাম্পিং ও কনকাশন বদলির নিয়ম পাল্টেছে আইসিসি

336
0
স্টাম্পিং ও কনকাশন বদলির নিয়ম পাল্টেছে আইসিসি

নতুন বছরের শুরুতেই ক্রিকেটের নিয়মে দুটি বদল আনার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ সংশোধনীতে স্টাম্পিং আউট ও কনকাশন (মাথায় আঘাত) বদলির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালুর বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্লেয়িং কন্ডিশনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে স্টাম্পিং আউটের আবেদন পাঠানোর পর ব্যাটসম্যান কট বিহাইন্ড হয়েছেন কি না, সেটা তিনি (তৃতীয় আম্পায়ার) দেখতে পারবেন না। সাধারণত স্টাম্পিংয়ের আবেদনে সন্দেহ না জাগলে লেগ আম্পায়ারই সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেন। তবে নিশ্চিত না হলে মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় (টিভি) আম্পায়ারের সহায়তা নেন। টিভি আম্পায়ার স্টাম্পিং আউটের আবেদন যাচাইয়ের সময় ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে বল উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়েছে কি না, সেটাও দেখে নেন।

কিন্তু এখন থেকে স্টাম্পিংয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে শুধু এই আউট নিয়েই সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন টিভি আম্পায়ার। অর্থাৎ, স্টাম্পিংয়ের আবেদন হলে শুধু সাইড অন রিপ্লে দেখা হবে। যেখানে ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীরের কোনো অংশ বেল ফেলার সময় ক্রিজের ভেতর ছিল কি না, সেটা যাচাই করা হবে।

কোনো উইকেটকিপার যদি মনে করেন, বল ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে সরাসরি তাঁর হাতে এসেছে এবং এরপর তিনি স্টাম্পিংও করেছেন, সেক্ষেত্রে আলাদা দুটি রিভিউ (ডিআরএস) নিতে হবে। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।

গত বছর ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া বেশ কয়েকবার উভয় আউটের সুবিধা পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি ও দলের ফিল্ডাররা শুধু স্টাম্পিংয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে টিভি আম্পায়ার ডিআরএস ছাড়াই কট বিহাইন্ডও পরীক্ষা করে দেখেন। সেই নিয়ম এবার বদলে গেল।

ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো আইসিসির সংশোধনীতে যা বলা হয়েছে, তার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে, ‘পরিবর্তিত রিভিউ শুধুমাত্র স্টাম্পড আউট পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য আউটের (যেমন-কট বিহাইন্ড) ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দল যেন একটি ফ্রি রিভিউ না পায়, সেটা প্রতিরোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া কনকাশন বদলির নিয়ম আরও স্বচ্ছ করা হয়েছে, যেন কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটারকে যদি কনকাশন বদলি হিসেবে খেলাতে হয়, তাহলে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনিও বল করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে এটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না।

নো বল ডাকার ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ারকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। এত দিন তৃতীয় আম্পায়ার শুধু সামনের পায়ের ধাপ পরীক্ষা করে নো বল দিতে পারতেন। এখন থেকে তৃতীয় আম্পায়ার সব ধরনের নো বল পরীক্ষা করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here