ডিজিটাল কনটেন্ট সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, গত বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ‘অভিজ্ঞতা লব্ধ শিক্ষার পাঠ’ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি ভিন্নভাবে যুক্ত করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বইয়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইয়ের তিন দিনের রোজনামচা এবং ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বইতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজাদের কাহিনি যুক্ত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এই দুটির ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল করা হয়েছে। তারা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এই কাজটি করেছেন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদেরও এটি বিনা মূল্যেই ব্যবহার করতে দেওয়া হবে।
মফিদুল হক জানান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পাঠ্যক্রম সহায়ক এই ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজ চলতে থাকবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণির বইয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের বিষয় এর আওতায় আসবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে তথ্য–উপাত্ত সংগৃহীত হয়েছে। এর মাত্র ১০ শতাংশই গ্যালারিতে প্রদর্শন করার ব্যবস্থা আছে। অবশিষ্ট অংশ সংরক্ষিত রয়েছে তাদের মহাফেজখানায়। সেখান থেকে বহু তথ্য এই ডিজিটাল কনটেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাঠক্রমের বাইরেও যারা জানতে আগ্রহী হবে তারা এখান থেকে সহজেই অনেক তথ্য জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ট্রাস্টি সারা যাকের। সঞ্চালনা করেন কর্মসূচি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম।