কী করবে মহারাষ্ট্র সরকার? বিচারে দেখা গেছে, রাধেশ্যাম শাহ নামে এই মামলার এক অপরাধী আগে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই ও মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক তার বিরোধিতা করেছিলেন। সিবিআইয়ের বিচারক ২০০৮ সালে রাজ্য সরকারের জারি করা প্রস্তাব দেখিয়ে বলেছিলেন, এটা এমন এক অপরাধ, ২৮ বছর কারাভোগ না করলে যা থেকে মুক্তির আবেদন করাই যায় না।
রাধেশ্যাম শাহ সেই আবেদন জানিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ১ আগস্ট। মহারাষ্ট্রের সরকারে তখন বিজেপি–শিবসেনা জোট। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফাডনবিশ। সিবিআই তার প্রতিবেদন পেশ করেছিল ১৪ আগস্ট। আবেদন নাকচ করার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, ২০০৮ সালে গৃহীত রাজ্য সরকারের সেই প্রস্তাবটি। সিবিআই আদালতও জানিয়েছিল, রাজ্যের বিচারে শাহর অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর ও ঘৃণ্য।
অন্য অপরাধীরা গোধরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একই আবেদন জানিয়েছিলেন। গোধরা কারা কর্তৃপক্ষও সিবিআই আদালতের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিলেন। ২০২১ সালের মার্চে সিবিআই আদালতের বিচারক জানান, অপরাধীদের অপরাধ সাব্যস্ত হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। অতএব তারাই রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী।
সুপ্রিম কোর্ট এ কথাও জানাতে ভোলেননি, মুক্তি পেতে গুজরাট রাজ্য সরকারের সাহচর্যে অপরাধীরা বহু তথ্য গোপন করেছিলেন। বিজেপিশাসিত গুজরাট সরকারের কাছে এই রায় এক বিরাট ধাক্কা। সেই কারণে রায় দেওয়ার দুদিন পরও বিজেপির কেউ একটিও মন্তব্য করেননি।