নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যুর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ভারী গাড়ি চালাচ্ছেন নিরাপত্তা প্রহরী, অফিস সহায়ক, মশককর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাঁরা নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করে ভারী যানবাহন চালাচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগেরই ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নেই। বছরের পর বছর এমন কাণ্ড ঘটে চললেও সিটি করপোরেশন জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পরিবহন পুল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনো দক্ষ চালকের অভাব রয়েছে। গত কয়েক বছরে দুই সিটিতে কিছু চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো চালকের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) দিনের বেলায় ময়লাবাহী গাড়ি চালানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বর্জ্য সরানোর কাজ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ঘোষণা দিয়েই দায় সেরেছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। এখনো দিনের বেলায় বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় চলছে।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাস পর ২০২০ সালের আগস্টে সন্ধ্যার পর বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহের সার্বিক কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু অনেক ওয়ার্ডেই এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।