15.9 C
New York

সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ ৮ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল: বাংলাদেশ ব্যাংক 

Published:

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত জুলাই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাংক থেকে সরাসরি অর্থ ধার কমলেও বিদায়ী ২০২৩ সালের শেষ দুই মাসে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে সরকারের ধারের পরিমাণ বেড়েছে।

বিদায়ী বছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। তাই অর্থনীতিবিদেরা ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বন্ধের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বাড়লে তা পরোক্ষভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। 

জানতে চাইলে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ব্যাংকে তারল্য–সংকট ছিল, তাই সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ধার করা কমিয়েছে। দ্বিতীয়ত, উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকায় সরকারকে ঋণ দেওয়া কমিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নেও ছিল ধীর গতি। 

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা এবং ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা। ব্যাংকবহির্ভূত খাতের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। 

Related articles

Recent articles

spot_img