সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। অনেক নীতিনির্ধারক বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর কিংবা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তুলনা করেন। সেখানে দেশের চাকরির বাজার ৩০ বছর বয়সের ফ্রেমে বেঁধে রাখা কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্নও তুলেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। অবশ্য কেউ কেউ মনে করেন, উন্নত দেশগুলোর মতো চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা তুলে দেওয়া উচিত। এ নিয়ে কিছুদিন ধরেই ফেসবুক বেশ উত্তপ্ত। তর্ক-বিতর্কও বেশ চলছে।
এ বিষয় নিয়ে ৬ মে কথা বলেছিলাম শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সঙ্গে। প্রশ্ন করেছিলাম, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না থাকলে কী সমস্যা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা, সততা ও নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকলে চাকরিতে বয়সসীমা না থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তবে দেশে বর্তমান বাস্তবতায় যেহেতু এসবের ঘাটতি আছে, সে জন্য চাকরিতে বয়সসীমা থাকা ঠিক আছে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক আরও বলেন, কিছুদিন পরপর সরকারি চাকরিতে প্রবেশসীমার বয়স বাড়ানোর দাবি ওঠে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে চাপের মুখে বয়স বাড়ানো ঠিক হবে না। বয়স বাড়াতে হলে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা করতে হবে, সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্টজন ও সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ২ থেকে ৩ বছর বয়স বাড়ানো যেতে পারে। তবে একই সঙ্গে চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমাও ৩ কিংবা ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।