ভ্যালেরি টেইলর বলেন, এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষ। তাঁদের সমস্যাগুলো প্রায়ই উপেক্ষিত থেকে যায়। দুই দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই উৎসবে তাঁদের শিল্পপ্রতিভা তুলে ধরবেন। সেমিনারে তাঁদের অসুবিধা ও অধিকারের কথাগুলো উঠে আসবে। এতে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের সুবিধা হবে। সব মিলিয়ে এই আয়োজনের জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উৎসবের পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনের জন্য ভ্যালেরি টেইলরকেই তাঁদের সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি মনে হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসহায়তা দেওয়ার মহান লক্ষ্যে নিয়ে যে সেবামূলক কাজ করেছেন, তা দেশে এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। সিআরপির কার্যক্রম সারা বিশ্বেই প্রশংসিত। তিনি এই উৎসবে অংশ নিয়ে আয়োজনকে মর্যাদাবান করেছেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের কর্মসূচি পরিচালক ডেভিড নকস বলেন, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাঁদের শিল্পপ্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন, তা ছাড়া এ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআইডির সিইও সাঈদ আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রতিবন্ধী নাট্যনির্দেশক জেনি সেলি এবং বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ।