গতকাল সকাল ১০টায় শংকরচন্দ্র গ্রামে শাহরিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শোকার্ত মানুষের ভিড়। উঠানে তাঁবুর নিচে বাবা আবু সাঈদ মন্ডলকে ঘিরে আছে প্রতিবেশীরা। ঘরের ভেতর থেকে সন্তানহারা মা চম্পা খাতুন ও সদ্য বিধবা রাজিয়া সুলতানার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল। কোনো কিছু না বুঝেও পিতৃহারা শিশু মুহিন ছোট চাচা সিয়ামের কোলে অনবরত কেঁদে চলেছে। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দেবেন, সে ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন।
শাহরিয়ারের কথা বলে অনবরত কেঁদে যাচ্ছিলেন মা চম্পা খাতুন। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। সংসারে যখন সুখের দেখা মিলল, তখনই শাহরিয়ারের মৃত্যু সবকিছু এলোমেলো করে দিল।
শাহরিয়ার শুভ শংকরচন্দ্র গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ মন্ডল-চম্পা খাতুন দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে মেজ। তিনি যশোরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা শেষে ঢাকায় লিফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও সাত মাস বয়সী ছেলেসন্তান মোহাম্মদ মুহিনকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শাহরিয়ারের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন ঢাকার একটি কনস্ট্রাকশন ফার্মে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই সিয়াম আলী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। একমাত্র বোন লিজা খাতুন গৃহিণী। ঘটনার দিন সিয়াম আলী মেজ ভাই শাহরিয়ারের বাসায় অবস্থান করছিলেন।