19 C
New York

সক্ষমতা জানান দিতে ইসরায়েলে হামলার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোনের প্রদর্শনী ইরানের

Published:

যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি আর কিউ-১৭০ সেনটিনাল ড্রোনও প্রদর্শনীতে রয়েছে বলে জানায় ইরান। ২০১১ সালে এই মডেলের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল তেহরান। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওই সময় সিএনএনকে বলেছিলেন, ওই ড্রোন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) নজরদারি কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হতো। আফগানিস্তানে অবস্থানকারী মার্কিন গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও এই ড্রোন ব্যবহার করতেন। এর তিন বছর পরে ইরান জানায়, তারা এই ড্রোনের মতো ড্রোন তৈরি করেছে।

বেলালি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন দেশটির প্রতিরক্ষা কৌশলের মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ক্ষেত্রে আমরা কারও ওপর নির্ভর করি না। এই খাতে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আমরা আরও উন্নতি করব। এই খাতে এমন অনেক অর্জন রয়েছে, যেগুলো নিয়ে এখনো কথা বলা হয়নি।’

ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোনও ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ইরান-ইরাক যুদ্ধে ব্যবহার করা আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিকেলও (ইউএভি) রয়েছে। ইরানিদের দাবি, এই মডেলের ড্রোন যেকোনো উপায়ে ফাঁকি দিতে সক্ষম।

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ড্রোন শাহেদ-১৩৬। ইসরায়েলে হামলা চালানোর সময় শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করা হয় বলে স্বীকার করেছে ইরান। ইরান এই মডেলের শত শত ড্রোন রাশিয়াকেও দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। তাদের দাবি, মস্কো এসব ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় হামলা চালাচ্ছে। যদিও ইরান বারবার সেসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।

* সংক্ষেপিত অনুবাদ: মেহেদী হাসান

Related articles

Recent articles

spot_img