৩. হঠাৎ করে চা–কফি বাদ দেওয়া
ঘুম থেকে ওঠার পর কফি বা চা খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। কেউ কেউ আবার স্বাস্থ্যগত কারণে কফি বা চা বাদ দেন। কিন্তু হুট করে এসব বাদ দেওয়া উচিত নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাফেইনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে মানুষের শরীর। হঠাৎ করে কফি বা চা বাদ দিলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, জ্বর, বমির ভাব হতে পারে। এ ছাড়া মনোযোগের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। যদি একেবারেই ছাড়তে চান, তবে ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে দেওয়া ভালো।
৪. দাঁতের কথা ভুলে যাওয়া
ঘুম থেকে উঠে কেউ কেউ দাঁত না মেজেই প্রাত্যহিক কাজ করা শুরু করে দেন। কারও আবার ঘুম থেকে উঠেই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু সকালে উঠেই না মাজলে দাঁতে টারটার নামের প্লাক জমতে শুরু করে। এসব থেকে মুখের দুর্গন্ধ, ক্যাভিটি ও দাঁতের অন্যান্য রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া কফি খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়। কারণ, কফিতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। কফি খাওয়ার পর পরই ব্রাশ করলে এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কফি বা লেবুর শরবত খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর দাঁত মাজা উচিত।
৫. ঘুমচোখেই মুঠোফোন
স্মার্ট ডিভাইস এখন আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। ই-মেইল দেখা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বোলানো—সব সময় এসব করতে করতে বেড়ে যায় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। এই চাপ ও উদ্বেগ আরও বেড়ে যায় যদি ঘুম চোখেই এসব দেখতে শুরু করেন। এতে সকাল সকালই বাড়তি চাপে পড়ে যেতে হয়। আর তা অব্যাহত থাকে সারা দিন। তাই অন্তত সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক ঘণ্টা ই-মেইল বা ফেসবুক না দেখাই ভালো। এতে মন প্রশান্ত থাকবে। কর্মব্যস্ত দিনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন ধীরে ধীরে।