11.2 C
New York

সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল, মাঝ থেকে বিপদে জর্ডান

Published:

এরপরও জর্ডানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির রাজতন্ত্র চাপে রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগেও দেশটির ভেতরে ও সীমান্তে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। জর্ডানের সাবেক মন্ত্রী ও ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক ইব্রাহিম সাইফ বলেন, করোনার পর জর্ডানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে চাঙা হচ্ছিল। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধে তা বড় ধাক্কা খেয়েছে।

এখন সবার নজর গাজার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী রাফা এলাকায়। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। তাঁদের আশঙ্কা, খুব শিগগিরই হয়তো রাফায় স্থল অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনটা হলে জর্ডানের বিক্ষোভকারীরা আবার রাজপথে নামতে পারেন।

যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক ইউনির্ভাসিটির জর্ডান–বিশেষজ্ঞ জোসে কিরো মার্টিনেজ বলেন, ‘সাধারণত বিক্ষোভ যখন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হয়, তখন (বিক্ষোভকারীদের খুশি করতে) বাদশাহ প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দিতে পারেন। তবে এবার বিক্ষোভকারীদের দেওয়ার মতো তাঁর হাতে কিছু নেই। আর যখন মানুষকে শান্ত করার মতো তাঁর হাতে কিছু থাকে না, তখন ধরপাকড় শুরু করতে পারেন।’

জর্ডানে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর। অতীতে দেশটিতে ধরপাকড় ও সহিংসতার মাধ্যমে অনেক বিক্ষোভের রেশ কমানো হয়েছে। আর এই বিক্ষোভ যত দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনীর আশা থাকবে—বিক্ষোভকারীরা একসময় নিরাশ হয়ে ঘরে ফিরবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

সেন ইয়োম বলেন, বিক্ষোভে ক্লান্তির ছায়া দেখা গেছে। অনেক বিক্ষোভকারীর মনে হয়েছে, তাঁদের কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিতে কোনো বদল আনবে না। এমন চিন্তা করে তাঁরা বিক্ষোভ-সমাবেশে ইস্তফা দিয়েছেন।

Related articles

Recent articles

spot_img