গ্যাজেট ও ইন্টারনেটে আসক্তির ভয়াবহ প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায়। অনেক সময় মা-বাবা হয়তো নিজেদের সাময়িক সুবিধার জন্য শিশুর হাতে মুঠোফোন দিচ্ছেন, কিন্তু এতে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়ে শিশু। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ মেডিকেল অফিসার ফাহমিদা রহমান বলেন, ‘শিশু বিভাগে কাজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক অভিভাবকই শিশুকে নিয়ে আসেন মুঠোফোন ছাড়া খেতে চায় না বলে। অথচ ওই শিশু খাবারই চেনে না। মা-বাবা হয়তো তাকে খাওয়াতেন মুঠোফোন দেখাতে দেখাতে। ফলে শিশু কী খাচ্ছে, কেন খাচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারত না। এটা অনেক শিশুর দেরিতে কথা বলার সমস্যাও সৃষ্টি করে।’
একই সঙ্গে শিশুর গ্যাজেট ও ইন্টারনেট আসক্তির কারণে আরও বেশ কিছু অসুবিধার কথা জানালেন এই চিকিৎসক—
-
সাধারণত প্রথম তিন বছর শিশুর মস্তিষ্কের বড় অংশের গঠন হয়। তাই এ সময় শিশু কী শিখছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
-
শিশুকে খাওয়ানোর সময় মুঠোফোন ধরিয়ে দিলে কোনটা কী খাবার, কোনটার স্বাদ কেমন, এসব শেখার সুযোগ পায় না।
-
কম দূরত্ব থেকে মুঠোফোন দেখার কারণে ডিজিটাল পর্দার বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি শিশুর চোখের ক্ষতি করে।
-
শিশু সামাজিকতা শেখে না। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, এসব শেখায় ঘাটতি থাকে।
-
শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অল্পতেই রেগে যায়। নিজের রাগ প্রকাশ করতে গিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর, চিৎকার ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়।
-
একটানা মুঠোফোনে ভিডিও দেখার কারণে শিশুর রাগ বেড়ে যায়। মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।