21.4 C
New York

শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ায় চাই শিশুদের শাস্তির বিলোপ

Published:

বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরও উপকরণ ও সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু বড়রা জটিলতার সম্মুখীন হলে শিশুদের মারধর বা অপমান করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন করে সব ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করলে এ নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে এবং সময়ের সঙ্গে শাস্তির মাত্রা কমতে থাকে। সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় তা ঘটেছে।

শিশুদের শাস্তি বিলোপে করণীয়

২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন অবসানে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৬.২ অর্জন করতে হলে শাস্তি বিলোপ অপরিহার্য। এ জন্য বাংলাদেশে যা করা প্রয়োজন, তা হলো:

 ১. সব ক্ষেত্রে (বাড়ি, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র, বিকল্প শিশু পরিচর্যাকেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান) শিশুদের শাস্তি নিষিদ্ধ করে একটি নতুন আইন প্রণয়ন।

২. নীতিমালা, কর্মসূচি ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে আইনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে এর বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিতকরণ।

৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শাস্তি নিষিদ্ধকরণে সরকার যে পরিপত্র জারি করেছে, তার বাস্তবায়ন ও যথাযথ মনিটরিং।

৪. শাস্তি না দিয়ে ইতিবাচকভাবে শিশুদের বড় করা ও শিক্ষাদান সম্পর্কে মা-বাবা এবং শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো। পরিবার ও শিশুদের নিয়ে বা তাদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবা খাতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোতে এ–সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা।

৫. শিশুদের মতামতকে সম্মান করা এবং শাস্তি বিলোপ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে তাদের কথা শোনা।

Related articles

Recent articles

spot_img