বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরও উপকরণ ও সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু বড়রা জটিলতার সম্মুখীন হলে শিশুদের মারধর বা অপমান করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন করে সব ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করলে এ নিয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে এবং সময়ের সঙ্গে শাস্তির মাত্রা কমতে থাকে। সুইডেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় তা ঘটেছে।
শিশুদের শাস্তি বিলোপে করণীয়
২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশু নির্যাতন অবসানে বিশ্বকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৬.২ অর্জন করতে হলে শাস্তি বিলোপ অপরিহার্য। এ জন্য বাংলাদেশে যা করা প্রয়োজন, তা হলো:
১. সব ক্ষেত্রে (বাড়ি, বিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্র, বিকল্প শিশু পরিচর্যাকেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান) শিশুদের শাস্তি নিষিদ্ধ করে একটি নতুন আইন প্রণয়ন।
২. নীতিমালা, কর্মসূচি ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণার মাধ্যমে আইনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে এর বাস্তবায়ন যথাযথভাবে হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিতকরণ।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শাস্তি নিষিদ্ধকরণে সরকার যে পরিপত্র জারি করেছে, তার বাস্তবায়ন ও যথাযথ মনিটরিং।
৪. শাস্তি না দিয়ে ইতিবাচকভাবে শিশুদের বড় করা ও শিক্ষাদান সম্পর্কে মা-বাবা এবং শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো। পরিবার ও শিশুদের নিয়ে বা তাদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবা খাতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোতে এ–সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. শিশুদের মতামতকে সম্মান করা এবং শাস্তি বিলোপ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে তাদের কথা শোনা।