ছবি মুক্তিতে নায়ক হিসেবে আমার ঈদ ভালোই কাটার কথা ছিল, কিন্তু সেভাবে কাটেনি। গ্রামের বাড়িতেও যাইনি। তবে শো দেখতে যমুনা ব্লকবাস্টারে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ছবির শো টাইম এমন সময়ে ছিল, মনটাই খারাপ হয়ে যায়। ওই সময়ে সাধারণত দর্শক কম থাকে। তা ছাড়া যমুনা ব্লকবাস্টারে দর্শকের সংখ্যা স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ে বরাবরই কম থাকে। ঈদুল ফিতরে তো ‘মায়া দ্য লাভ’ ছবি সিনেপ্লেক্সে কোনো শো পায়নি। সিনেপ্লেক্সে শো না পাওয়ায় হতাশ হয়েছি। দু–একটি শো দিলেও তো কমপক্ষে আলোচনায় আসতে পারতাম।
প্রথম আলো :
কিন্তু কথা হচ্ছে, সেই ঈদে ১১টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ঈদের ছবির নায়ক হিসেবে এত ছবি মুক্তির যৌক্তিকতা কতটুকু মনে করছেন?
ঈদে ১১টি ছবি মুক্তি একেবারে অনুচিত। আমার মতে, সর্বোচ্চ চারটি মুক্তি পেলেই ভালো হতো, যেটা আমরা ঈদুল আজহায় দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, এভাবে এত ছবি মুক্তি না দিয়ে, ১২ মাসের পরিকল্পনা করে ছবিগুলো মুক্তি দেওয়া উচিত। এতে হলমালিকেরা সারা বছর সচল থাকতেন, প্রযোজকেরাও লাভের মুখ দেখতে পেতেন। আমি মনে করি, শাকিব ভাইয়ের ছবি যেহেতু এত দর্শক দেখেন, সারা দেশে তাঁর যে বিশাল ভক্ত ও সিনেমাপ্রেমী আছেন, শাকিব ভাইয়ের উচিত ঈদের বাইরে এসে ছবি মুক্তি দেওয়া। এতে বছরব্যাপী সিনেমা হলে দর্শক পাওয়া যাবে। অনন্ত জলিল ভাইও কিন্তু ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর ছবি ঈদের বাইরে আনবেন। বড় বাজেটের ছবিগুলো ঈদের বাইরে এসে মুক্তি দিলে একটা উৎসব তৈরি হবে। আমি এটা অবশ্যই মনে করি, শাকিব খান ভাই যখনই আসবেন, তখনই ঈদের মতো উৎসব শুরু হবে। এই ক্ষমতা তাঁর আছে। তাঁর ছবিগুলো ভালো যেমন হচ্ছে, তেমনি বড় বাজেটের। ‘তুফান’ দিয়ে শাকিব ভাই তো সবার মধ্যে সুনামি বইয়ে দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে এই ছবি দেখার জন্য টিকিটের হাহাকার দেখা গেছে। ঈদকেন্দ্রিক যে ছবি মুক্তির প্রথা, এটাও ভাঙা দরকার। এই প্রথা ভাঙতে হলে ইন্ডাস্ট্রির বিগ সুপারস্টার হিসেবে শাকিব ভাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ছোট ভাই হিসেবে এটা তাঁর কাছে অনুরোধও। আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেপ্টেম্বরে শাকিব ভাইয়ার ‘দরদ’ ছবিটি মুক্তি খবর শুনে।