২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অসামর্থ্য অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি উঠে এসেছিল।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে খোঁজ নিয়ে তালাকের ঘটনা বাড়ছে বলে জানা যায়। কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে তালাকের ঘটনা বেড়েছে। চট্টগ্রামে ২০২২ সালে বিচ্ছেদ ঘটে ৫ হাজার ৯৭৬টি, যা এর আগের ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। রংপুর সিটি করপোরেশনসহ পুরো জেলায় ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ৬ হাজার ৯৬৭টি। ২০২২ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়িয়ে ৭ হাজার ২১৫-তে। ময়মনসিংহ জেলায় তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তালাকের ঘটনা বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রাম এলাকায় তালাক বেড়ে যাওয়ার পেছনে করোনা, বাল্যবিবাহ ও দারিদ্র্যের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মাহবুবা নাসরীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক বছরে বাল্যবিবাহ ও মেয়েদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া অনেক বেড়েছে। বাবা-মায়েরা পূর্বাপর চিন্তা না করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য, যৌতুকসহ নানা কারণে তারা সংসার করতে পারেনি।
আগের পরিসংখ্যানের তুলনায় গ্রাম এলাকায় তালাক বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নতুন জানিয়ে মাহবুবা নাসরীন বলেন, এই বিষয়ে বিশদ গবেষণা প্রয়োজন। বাল্যবিবাহ বন্ধে পারিবারিক সচেতনতার পাশাপাশি সরকারের প্রচার বাড়ানো জরুরি।