সোনা ও টাকা উদ্ধারের পর র্যাবের করা মামলার রায়ে আদালত দুজন স্থানীয় সাক্ষী নিরাপত্তাকর্মী মোবারক হোসেন এবং ওষুধের দোকানদার এমাদ উদ্দিনের জবানবন্দির তথ্য তুলে ধরেছেন। সাক্ষী এমাদ উদ্দিন আদালতকে বলেছিলেন, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা বা ১০টার দিকে র্যাবের কয়েকটি গাড়ি আসে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে মনিরের বাসায় যেতে বলেন র্যাব সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনিরের বাসায় বসা অবস্থায় সাদা কাগজে তাঁর সই নেন র্যাব সদস্যরা। তাঁকে ১১ ঘণ্টা মনিরের বাসায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
মোবারকও আদালতকে বলেন, তাঁর কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল।
মামলাটির আরেক সাক্ষী আবদুল হামিদ ছিলেন মনিরের গাড়ি বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক। তিনি আদালতকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে র্যাব সদস্যরা বিক্রয়কেন্দ্রে যান। পরে সেখান থেকে দুটি গাড়ি (নিশান কার) নিয়ে যান তাঁরা। জোর করে সাদা কাগজে তাঁর একটি সইও নেওয়া হয়।
বিক্রয়কেন্দ্রের আরেক কর্মী আবুল কালামও আদালতকে বলেন, তাঁকেও সাদা কাগজে সই করতে বলা হয়।
ওষুধের দোকানিসহ পাঁচজন সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগকে সমর্থন করেননি বলে উল্লেখ করে রায়ে আদালত বলেন, অথচ এই পাঁচ সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ বৈরী সাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করেনি। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আদালত রায়ে বলেন, ‘সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করাকে কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং তাঁদের অবশ্যই পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত পুরো তল্লাশির প্রত্যক্ষদর্শী হতে হবে। প্রতিটি জিনিস কোথা থেকে পাওয়া গেল, তা স্পষ্টভাবে দেখতে সক্ষম হতে হবে।’