18.3 C
New York

রাহুল জিতলে কোনটা রেখে কোনটা ছাড়বেন, সেটাই প্রশ্ন

Published:

অথচ রাহুল সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন না। রহস্য ধরে রেখে একেবারে শেষ বেলায় দ্বিতীয় আসন হিসেবে তিনি বেছে নিলেন রায়বেরিলি। আমেথিতে প্রার্থী করা হলো গান্ধী পরিবারের গত ৪০ বছরের নির্বাচনী ম্যানেজার কিশোরীলাল শর্মাকে।

বিভিন্ন জনমত সমীক্ষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক মনে করেন, এবার আমেথি থেকে মুখ ঘোরানো রাহুলের উচিত হয়নি। গত পাঁচ বছরে ইরানির প্রতি আমেথির বহু মানুষ নানা কারণে ক্ষুব্ধ। যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ২০১৯ সালে রাহুলকে হারিয়ে জিতেছিলেন, তার কিছুই প্রায় রক্ষা করতে পারেননি। যেমন বলেছিলেন, জিতলে ১৩ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রির ব্যবস্থা করবেন। চিনির দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা। বলেছিলেন, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমে যাবে। পেট্রল এক শ পার, ডিজেল এক শ ছুঁই ছুঁই। হাসপাতালের হাল ফেরানোর কথা বলেছিলেন। শিল্প স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিছুই নাকি হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর ‘ঔদ্ধত্য’ নাকি বহুগুণ বেড়ে গেছে। ছেড়ে দেওয়া বুড়ো গরু-মহিষ এলাকার ফসলের ক্ষতি করছে। চাষিরা বিপন্ন বোধ করছেন। অথচ ইরানি নাকি নির্বিকার। ক্ষমতায় থাকলে স্বাভাবিক বিরোধিতার যে প্রবণতা দেখা যায়, ইরানির বিরুদ্ধে তা বেশ প্রবল। পাশাপাশি এই বিশ্লেষকদের ধারণা, এলাকার মানুষের যে অভিমানের দরুন রাহুলকে সেবার হারতে হয়েছিল, পাঁচ বছর পর তা উধাও। মানুষ মনে করছেন, সংসদ সদস্য হিসেবে রাহুলের মধ্যে একটা আন্তরিক চেষ্টা ছিল। অনেক কিছু চেষ্টা করেও তিনি পারেননি। ইরানির মধ্যে সেই আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। রাহুল প্রার্থী হলে এবার আমেথির জনতা অভিমান ভুলে তাঁকে ভোট দিতেন।

বস্তুত রাহুলকে প্রার্থী দেখতে আমেথির মানুষজন বহু দরবার করেছেন। বহুবার দাবি জানিয়েছেন। এমন একটা বিশ্বাস তাঁদের মনে জমা হয়েছিল যে শেষ বেলায় রাহুল ঠিকই আমেথিতে স্মৃতি ইরানির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন। তা না হওয়ায় অবশ্যই তাঁরা হতাশ। এতে ইরানিরই সুবিধা হবে।

Related articles

Recent articles

spot_img