15.2 C
New York

রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ ব্যবসায়ীদের ‘দখলে’ | প্রথম আলো

Published:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও একবার আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বিএনপি ও আরও কিছু দলের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে জয়ী ২৮০ জনই আওয়ামী লীগের মনোনীত কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন, যাঁরা সত্যিকার অর্থে দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এর বাইরে নির্বাচনে বিজয়ী ১৩ জন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক ও মিত্র দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। মাত্র পাঁচজন ভিন্ন দল বা মতের।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীরা যে হলফনামা দিয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করে নাগরিক অধিকার সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জানায়, নির্বাচনে ১ হাজার ৯৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৪২ জনই ছিলেন ব্যবসায়ী (৫৮ দশমিক ৭১ শতাংশ)। আওয়ামী লীগের ২৬৫ জনের মধ্যে ১৭০ জন, জাতীয় পার্টির ২৬২ জনের মধ্যে ১৭৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৩ জনের মধ্যে ৩০২ জনই ব্যবসায়ী।

সুজনের তথ্য ও নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা বিজয়ীদের বেসরকারি তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে বিজয়ীদের মধ্যে ব্যবসায়ী ১৯৪ জন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন, জাতীয় পার্টির ৯ জন, জাসদের ১ জন, কল্যাণ পার্টির ১ জন এবং স্বতন্ত্র ৩৮ জন রয়েছেন। সুজনের তালিকার বাইরে আরও অন্তত ৫ জন ব্যবসায়ী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলে প্রথম আলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগের ও ১ জন স্বতন্ত্র। সব মিলিয়ে অন্তত ১৯৯ জন ব্যবসায়ী এবার জাতীয় সংসদে সদস্য হিসেবে বসতে যাচ্ছেন। এর বাইরে নির্বাচিত যে ৪০ জন নিজেদের রাজনীতিবিদ ও কৃষিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের মূল পেশা ব্যবসা।

Related articles

Recent articles

spot_img