স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতিকে আরও বলা হয়, মহামান্য, ছাত্রসমাজের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আপনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে বাধিত করবেন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি-খরতাপ উপেক্ষা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমাদের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক, তা আমরা কখনোই চাই না। আমরা দ্রুতই পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ছাত্রসমাজ আশা রাখে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ নিয়ে বাধিত করবেন। অন্যথায় ছাত্রসমাজ নিজেদের অধিকার রক্ষায় এবং বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।
বঙ্গভবনে স্মারকলিপি দিতে যে ১২ জন গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন, আবদুল কাদের ও আবদুল হান্নান মাসউদ, সহসমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও রিফাত রশিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আশিক আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেরুন্নেসা নিদ্রা এবং ইডেন মহিলা কলেজের সমম্বয়ক সুমাইয়া আখতার।