মিথ্যা ঘোষণায় সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ চিংড়ির চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস। ৪৭০ কেজি চিংড়ির এই চালানে সরকারের ১৫ লাখ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছিল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে আনা এসব চিংড়ির চালান আটক করা হয়।
চিংড়ির চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার বুলবুল ট্রেডার্স। খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শহিদ ট্রেডিং করপোরেশন।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, মাছের চালানটিতে ঘোষণা দেওয়া হয় ৮৭ কার্টন মাছ। যার ঘোষিত নিট ওজন ৫ হাজার ১৭ কেজি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ট্রাকটিতে মিথ্যা ঘোষণার ১১ প্যাকেজ মাছ বেশি পায়। আমদানি করা চিংড়ি মাছের চালানে ১৫ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আব্দুল হাকিম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা একটি সামুদ্রিক মাছের চালানের ট্রাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করে ঘোষণার অতিরিক্ত ১১ প্যাকেজে ৪৭০ কেজি বড় আকারের চিংড়ি মাছ আটক করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিন লক করা হবে এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু থাকলে এই অবস্থা থাকতো না।
মো. জামাল হোসেন/কেএসআর